ফেসবুক রুটিন চেক-আপ এর মত এর প্রাথমিক এড রিভিউ সাধারণত প্রতিবার এড ক্যাম্পেইন এক্টিভ হওয়ার আগেই করে নেয়। তবে রিজিওন ভিত্তিক র্যান্ডম রিভিউ হয় বিশেষ বিশেষ সেশনে। ফলে প্রতিবার এর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে F-commerce বেইজড বিজনেস গুলোর। মূলত কোভিড-১৯ প্যানডেমিক সময়কাল থেকে ঢালাও ভাবে রিভিউ কার্যক্রমের জন্য রুটিন রিভিউ এবং র্যান্ডম রিভিউ পরিচালিত হচ্ছে AI (Artificial Intelligence) সিস্টেম ভিত্তিক যা এখোনো বেটা মোড এ আছে এবং সয়ংসম্পূর্ণ নয়।
✅ যেসব কারণে ফেসবুক প্রোফাইল, পেইজ ও এড অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিকশন হতে পারেঃ
১) AI (Artificial Intelligence) ভিত্তিক রিভিউ প্রসেস এ ভুলের কারণে False Positive হিসেবে ফেসবুক ও এড একাউন্ট রেস্টিক্ট হচ্ছে।
২) বেশি সংখ্যক এড রিজেকশন থাকলে।
৩) এড পলিসি, কমার্স পলিসি, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস ইত্যাদি না মেনে একাধিকবার ফেসবুকের রিভিউ সিস্টেমকে এড়ানোর চেষ্টা করলে।
যেমনঃ
ইউনিকোড অক্ষর, চিহ্ন ব্যবহার করে শব্দ বা বাক্য বিকৃত করে ফেসবুকের রিভিউ সিস্টেম থেকে লুকানোর চেষ্টা করা।
ক্যাপশন বা ছবির টেক্সট এ ব্যাকরণগত ভুল, বিরাম চিহ্নর ভুল, সকল অক্ষর ক্যাপিটালে লিখা, অতিরিক্ত ইমোজি ব্যবহার করা ইত্যাদি।
কোন এডের ল্যান্ডিং পেইজে ফেসবুকের এক্সেস সীমাবদ্ধ করা।
এড পলিসি ভায়োলেশনের জন্য এড অ্যাকাউন্ট ডিজেবল করে দেওয়ার পর পুনরায় একই এড নতুন এড অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়ার চেষ্টা করা।
৪) প্রতারণা এবং অস্বাভাবিক আচরণ
ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা
অযাচিত এবং অবাস্তব অফার, ক্লিক বেইট ক্যাপশন ব্যবহার করে সেল বৃদ্ধির চেষ্টা
এডমিন আইডি হতে কমিউনি স্ট্যান্ডার্ডস ভায়োলেশন
৫) সন্দেহজনক নেটওয়ার্ক ও এসোসিয়েশন
এক পেইজ এর একাধিক এডমিন আইডির সন্দেহজনক এক্টিভিটি। উদাহারণঃ শুধুমাত্র এড দেয়া, শুধু পেমেন্ট করা, একাধিক রেস্ট্রিক্টেড আইডিতে ওনারশীপ থাকা ইত্যাদি।
পেইজ এর সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় এমন ডোমেইন পেইজ এর ইনফরমেশন এ এড রাখা।
এড রিজেক্ট হয়ে গেলে একই নেটওয়ার্ক থেকে নতুন একাউন্ট তৈরী করে পুনরায় এড দেয়া।
একই এবং বিলো এভারেজ এড কন্টেন্ট একাধিক পেইজ থেকে ব্যবহার, যেগুলির ফলে পেইজগুলির ও এড স্কোর কমে যায়।
৬) কমার্স এলিজিবিলিটি রিকুয়েরমেন্টঃ ফেসবুক শপ অথবা ক্যাটালগ এর জন্য কিছু পূর্ব শর্ত থাকে যা সঠিকভাবে না মানলে ঝুকি থাকে পেইজ, এড একাউন্ট সহ শপ ও অন্যান্য ডিজিটাল এসেট ঝুকির মধ্যে পড়ে।
যেমনঃ
-ইনস্টাগ্রাম প্রোফেশনাল অ্যাকাউন্ট এর ক্ষেত্রে ইনস্টাগ্রামের ব্যবহার পলিসি এবং কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।
-ফেসবুক এর সাথে লিঙ্কড ইন্সটাগ্রাম একাউন্টটি যেনো রেস্ট্রিকটেড না থাকে।
-
ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে ডোমেইন ভেরিফাইড হতে হবে বিজনেস ম্যানেজারের মাধ্যমে। ফাংশনাল ওয়েবসাইট না হলে পেইজ এ তা রাখা যাবেনা।
-
ফেসবুকের সাপোর্টেড মার্কেটে বিজনেস করতে হবে।
-
ওয়েবসাইট এর প্রাইভেসি পলিসি, রিটার্ন পলিসি, SSL সার্টিফিকেট ইত্যাদি নিশ্চিত করা।
যেভাবে রেস্টিকশন থেকে রেহাই পাওয়া যায়ঃ
-
NID/ Passport/ Driving License এর মাধ্যমে আইডেন্টিটি কনফারমেশন করে এডমিন আইডি অথোরাইজড করা।
-
ডকুমেন্ট নাম, জন্ম সাল ও তারিখ ফেসবুক আইডির সাথে মিল রাখা।
-
থ্রেশহোল্ড বুস্টিং / কুপন এর মাধ্যমে বুস্ট করে এধরনের সার্ভিস প্রোভাইডর / এজেন্সি থেকে সার্ভিস না নেয়া।
-
সেইম নেটওয়ার্ক/ আইপি থেকে ১৫ টির অধিক এক্টিভ ফেসবুক আইডি না রাখা
-
সেইম ফেসবুক আইডি দুইটির বেশি নেটওয়ার্ক অথবা ডিভাইস এ লগ-ইন না রাখা।
-
পেইজ / আইডি অথবা একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে পলিসি লঙ্ঘন হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা, ভায়োলেশন হলে আপিল এর সময় উপযুক্ত সাপোর্টেড ডকুমেন্ট দিয়ে আইডেন্টিটি কনফার্ম করে পরবর্তীতে ভুল হবেনা না জানিয়ে রিভিউ আপিল করা। নিশ্চিত না থাকলে রিভিউ আপিল এর প্রথম অপশন সিলেক্ট করা যাতে বলা থাকে কোন পলিসি ভায়োলেশন হয়েছে তা নিশ্চিত নই।
-
বর্তমানে ৭০-৮০ % ক্ষেত্রেই ভুলবশত রেস্ট্রিকটেড হচ্ছে ফেসবুক পেইজ। এক্ষেত্রে আপিল করলে ফেরত পাবার জোর সম্ভাবনা থাকে। তবে সঠিক গাইডলাইন মেনে এবং জেনে আপিল করাই শ্রেয়।
-
পেইজ রেস্ট্রিকশন এর ক্ষেত্রে বর্তমানে ১ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় নিচ্ছে, এড একাউন্ট এর ক্ষেত্রে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা তবে ক্ষেত্র বিশেষ এ আরো বেশি। এর মধ্যে রিভিউ রেজাল্ট না পেলে সাপোর্ট চ্যাট অথবা কল ইনিশিয়েট করে জানালে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
-
পেইজ না ফিরে আসলে সেক্ষেত্রে বিজনেস এক্টিভিটি রানিং রাখার জন্য ব্যকআপ পেইজ রাখা।
-
যেহেতু ফেসবুক বিজনেস প্লাটফর্ম আপনার নিজের কোনো প্লাটফর্ম না, সেহেতু F-commerce বেইজড বিজনেস কে Website / E-commerce এ নিলে ফেসবুক এর আনস্ট্যাবল স্যিচুয়েশন এর উপর নির্ভরতা অনেকাংশেই কমে আসে।