ফেসবুকের বেসিক মার্কেটিং নিয়ে অনেকেরই ধারনা আছে, যেমন

সম্পর্কিত পোস্ট দিয়ে ইউজারদের এঙ্গেজ করা।

– সঠিক সময়ে রেগুলার পোস্ট করা।

-দ্রুত সময়ের মধ্যে কমেন্টের উত্তর দেয়া।

– সঠিক ইউজার টার্গেট করা এবং লুকেলাইক করা আরো ইউজার নিয়ে আসা।-ফেসবুক পেইড এডের সুবিধা কাজে লাগানো।

এখন কথা হচ্ছে এই ডিজিটাল দুনিয়ায় ফেসবুকে অনেক কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। তাই বেসিক স্ট্রাটেজি, অথবা একই ধরনের স্ট্রাটেজি নিয়ে মার্কেটে টিকে থাকা কঠিন।

নিচে কিছু ফেসবুক মার্কেটিং স্ট্রাটেজি দেয়ার চেস্টা করা হলো।

১। ফেসবুকের ওপেন গ্রাফ ব্যবহার করুন

এই টুলস এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন ফেসবুকে পোস্ট করতে যাওয়া কন্টেন্টগুলো কেমন দেখাবে, কিভাবে দেখাবে। অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইট, আর্টিকেল ইত্যাদির লিঙ্ক পোস্ট করলে ফেসবুক পোস্টে দেখা যায় ছবি আসে না, শুধু লিঙ্ক আসে, এরকম আরো নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, আপনি ওপেন গ্রাফ টুল দিয়ে আপনার কন্টেন্টের প্রিভিউ দেখতে পাবেন এবং কোন সমস্যা থাকলে তারা আপনাকে জানাবে কি ধরনের সমস্যা, সে অনুযায়ী আপনি সেটা সমাধান করে নিতে পারবেন।

২। প্রোফাইল মোডিফিকেশন করুন

ইউজারকে কোন কন্টেন্ট সহজে খুঁজে বের করার ব্যাপারে পেইজের ইউজার এক্সপিরিয়েন্স নিয়ে কাজ করা খুবই প্রয়োজন। তাই আপনার পেইজের ট্যাব সেকশন নিয়ে কাজ করুন, সেখানে ফেসবুক বিভিন্ন বিজনেসের কথা চিন্তা করে অনেক ট্যাবের অপশন রেখে দিয়েছে তার মানে কিন্তু এই নয় যে আপনার সবই লাগবে, তাই আপনার বিজনেস অথবা সার্ভিসের কথা চিন্তা করে ট্যাব সাজান, না থাকলে যোগ করুন, অপ্রয়োজনীয়গুলো মুছে ফেলুন। এবং প্রয়োজন অনুসারে ট্যাবের ক্রম নির্ধারন করুন। তাহলে একজন ইউজার আপনার পেইজে এসে সে যা চায় সেটা খুব দ্রুত খুঁজে পাবে যা কিনা এখন খুবই প্রয়োজন।

৩। টেস্ট করুন, শিখুন কোনটা আপনার অডিয়েন্সের জন্য সঠিক

ফেসবুক মার্কেটিং স্ট্রাটেজির মধ্যে আপনাকে প্রতিটা ব্যাপার টেস্টিং এর ভিতর দিয়ে আসতে হবে, টেস্ট করবেন, শিখবেন, অপ্টিমাইজ করবেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন। কেমন এবং কোন কোন জায়গায় টেস্ট হতে পারে

-প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস নির্বাচন নিয়ে টেস্ট করতে পারেন, দেখুন আপনার অডিয়েন্স কি ধরনের প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস বেশি পছন্দ করছে। সে অনুযায়ী পরবর্তী প্ল্যান ঠিক করুনডিজাইন দিয়ে টেস্ট করতে পারেন, একই সার্ভিসের জন্য বিভিন্ন ডিজাইন টেস্ট করে দেখুন কোনটা সব থেকে ভালো কাজ করছে

– ডিজাইন দিয়ে টেস্ট করতে পারেন, একই সার্ভিসের জন্য বিভিন্ন ডিজাইন টেস্ট করে দেখুন কোনটা সব থেকে ভালো কাজ করছে

– ছবি এবং ভিডিওর মাধ্যমে টেস্ট করুন, দেখুন কোনটা ভালো করছে, সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন

– কয়েক রকম ভাবে কন্টেন্ট লিখে টেস্ট করুন, দেখুন কোন ধরনের কন্টেন্ট আপনার অডিয়েন্স বেশি গ্রহন করছে

– এড অবজেক্টিভ দিয়ে টেস্ট করুন, একই রকম অব্জেক্টিভে না থেকে বিভিন্ন অব্জেক্টিভে টেস্ট করে দেখুন আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের জন্য কোন এড অবজেক্টিভ সঠিক

-বিভিন্ন ধরনের এড ফরম্যাট নিয়ে টেস্ট করুন, এ্যালবাম ফরম্যাট, ক্যারোসেল ফরম্যাট, স্টোরি এড ফরম্যাট ইত্যাদি।

– এডে টার্গেটিং এ টেস্ট করুন, কয়েক সেটে বিভিন্ন ভাবে টার্গেটিং সাজান। লোকশন, জেন্ডার, বয়স, ডিটেল টার্গেটিং বিভিন্ন রকমভাবে দিয়ে টেস্ট করুন, ন্যারো এবং ব্রড অডিয়েন্স দিয়ে টেস্ট করুন, দেখুন কোথা থেকে ভালো ফলাফল পাচ্ছেন।

ফেসবুক মার্কেটিং করে সফল হতে গেলে টেস্টিং এর বিকল্প নেই। তাই এটা নিয়ে কাজ করা শুরু করুন।

৪। আপনার ফেসবুক পেইজের প্রোফাইল SEO করুন

এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে ফেসবুকে আপনার পেইজের র‍্যাঙ্ক হচ্ছে কিনা, অথবা কেউ গুগলে সার্চ করলে রেজাল্টে আপনার পেইজের লিঙ্ক আসছে কিনা, কেউ গুগলে সার্চ করে যদি আপনার পেইজের লিঙ্ক পায় তাহলে এখানে কিন্তু আপনি বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন, অনেকে গুগল থেকেও আপনার পেইজে প্রবেশ করবে। সে জন্য আপনার যা করা প্রয়োজন

– ভালো মানের প্রোফাইল ফটো এবং কাভার আপলোড করা, অবশ্যই কপি না।

– পেইজের “About” সেকশনে আপনার বিজনেস সম্পর্কে লেখা, কপি লেখা না, অরিজিনাল লেখা অবশ্যই এবং SEO অপ্টিমাইজ এবং ফ্রেন্ডলি হতে হবে

– “About” সেকশনে খুব বেশি কিছু লেখা যায় না, সেখানে ছোট করে একটি সামারি লিখবেন আর “Additional information” এ আপনার বিজনেস সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন, অরিজিনাল কন্টেন্ট লিখুন।

– পেইজের URL নিজের মত এডিট করে নেন, যতটা সহজ করে করা যায় তত ভালো, ইউজারদের পেইজ খুঁজে পেতে সাহায্য করে। – অন্যান্য তথ্যগুলো সঠিকভাবে পুরন করুন।

৫। কানেক্টিং এ বেশি জোর দেন, সেলিং এ না।

ফেসবুক এডের অন্যতম লক্ষ্য থাকে প্রোডাক্ট সেল করা আর এটা যখন সম্পূর্ণ ভাবে আপনার ফেসবুক মার্কেটিং এর স্ট্রাটেজি হয়ে যায় তখন গিয়ে সমস্যা দেখা যায়। আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং এর কাজ করছেন, তাই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার মত করেই আগাতে হবে।

সেল পোস্টের বাইরে এসে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিতে হবে, কি ধরনের পোস্ট হবে এটা নির্ভর করে আপনার সার্ভিস এবং প্রোডাক্ট এর অডিয়েন্সের উপর নির্ভর করে। কেমন হতে পারে সেল পোস্টের বাইরের পোস্ট

– ইমোশনাল পোস্ট হতে পারে

– বিভিন্ন রকম উপকারিমুলক পোস্ট দিতে পারেন

– মজাদার পোস্ট, রেসিপি, ট্রেন্ডী পোস্ট ইত্যাদি

– বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করতে পারেন

– আপনার কাজ করার বিহ্যাইন্ড দ্যা সিনের ছবি অথবা ভিডিও দিতে পারেন।

– ইত্যাদি