বিজনেসের ব্র্যন্ডিং নিয়ে আপনি যা ভাবছেন ব্র্যান্ডিং এর ব্যাপারটা তার থেকেও আরো অনেক বেশি ব্যাপক, বাহির থেকে আপনার কোম্পানির বিভিন্ন ভিজুয়াল উপাদান যেমন লোগো, রঙ ইত্যাদি দিয়ে ঘিরে থাকতে পারে কিন্তু আপনার ব্র্যান্ড আপনার বিজনেসের সম্পূর্ণ পরিচয় বহন করবে একজন ক্রেতার কাছে। আপনার ব্র্যান্ডের মাধ্যমেই আপনার কোম্পানির ব্যাক্তিত্ব প্রকাশ পাবে।
ব্র্যান্ডিং সব সময় ই আপনার বিজনেসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট এবং দিনে দিনে এটা আগের থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে কারন সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে পরিচিত হচ্ছে এবং তারা খুব সহজেই যেটা ভালো সেটা নির্বাচন করে নিতে পারছে। এটা কাস্টোমারের জন্য সহজ হয়েছে কিন্তু যারা বিজনেস করছে তাদের জন্য এতো প্রতিযোগিতার ভীড়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
সে জন্য সব থেকে বেশি যে ব্যাপারটা দরকার সেটা হচ্ছে নিজেকে সবার থেকে আলাদা ভাবে উপস্থাপন করা, তাহলে মানুষ অনেক দিন আপনাকে মনে রাখবে। আর এই মনে রাখাটাই এখন সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জ। তাই আপনাকে শক্তিশালী ব্র্যান্ড গড়ে তোলার ব্যাপারে ইনভেস্ট করা উচিত, এটাতে মানুষের অনেক বেশি মানুষের দৃষ্টি আপনার উপর থাকবে।
অনেক মানুষ আপনার বিজনেস কে চিনতে পারবে
বিজনেসে ব্র্যান্ডিং এর ব্যাপারটা প্রায় আবশ্যক হয়ে গেছে তার একটা কারন হচ্ছে ব্র্যান্ডিং আপনার কাস্টমারকে বিভিন্ন ভাবে আপনার কথা মনে করিয়ে দিবে। যাদের ব্র্যান্ডিং নেই অথবা যারা ব্র্যান্ডিং এ কাজ করছে না তাদের থেকে আপনি বেশ এগিয়ে থাকবেন এটা বলাই যায়।
যাই হোক, বিজনেসের মধ্যে কিছু উপাদান আপনার ব্র্যান্ড আইডেন্টিকে শক্তিশালী করবে যেমন ইউনিক একটি লোগো, আকর্ষণীয় রঙ। অনেকেই আপনার ব্র্যান্ডকে হয়ত খুব অল্প সময়ের জন্য দেখবে কিন্তু অল্প সময়ে মধ্যেই সেটা যদি তার ভালো লেগে যায় এটার সম্ভাবনা থেকে যায় সে খুব সহজে আপনার কোম্পানিকে ভুলবে না এমন কি সে যদি এখনো আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস নিতে রেডি না হয়ে থাকে। যখন সময় হবে সে আপনাকে খুঁজে বের করবে।
বিশ্বাস অর্জনে ব্র্যান্ড সহায়তা করে
আপনার অডিয়েন্সের কাছ থেকে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটা অর্জন করা খুব সহজ কাজ নয়। যে সব বিজনেস অনেক প্রধান উপাদান ভুলে যায় সেটার মধ্যে অডিয়েন্সের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা অন্যতম একটি।
আপনাকে যদি দুইটি বিজনেসের মধ্যে একটি নির্বাচন করতে দেয়া হয় যারা খুব চমৎকার ভাবে তাদের ব্র্যান্ডিং এর কাজগুলো করেছে আর যারা ব্র্যান্ডিং এ তেমন কোন গুরুত্ব দেয় নাই আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কাকে বেশি বিশ্বাস করা যায়। ব্র্যান্ডিং আপনার পটেনশিয়াল কাস্টোমারকে দেখাবে যে আপনি প্রতিষ্ঠিত এবং বিশ্বাসযোগ্য।
আপনার এড উন্নতি হবে
আপনার বিজনেস পেইড মার্কেটিং ছাড়া এখন কোনভাবেই আগাতে পারবে না এমনটা বললে ভুল বলা হয় না আর ব্র্যান্ডিং এবং এড দুইটা ব্যাপার পাশাপাশি চলে। আপনি যদি আপনার বিজনেসের জন্য ভালো পারফরমেন্সের এড আশা করেন তাহলে আপনাকে আগে ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করতে হবে। ব্যাপারটা এমন নয় একটি পেইজ তৈরি করলেন, কিছু প্রোডাক্ট আপলোড দিলেন আর বুস্ট করে দিলেন।
আপনার ইমপ্লোয়ির জন্য এটা চমৎকার একটা ব্যাপার
ব্র্যান্ডিং এর প্রভাব আপনার আপনার কোম্পানির মাঝে দেখা যায়, কে না চায় নাম করা একটি কোম্পানিতে কাজ করতে, আপনিও চান আপনার ইমপ্লয়ি যেন তাদের কাজকে ভালোবাসে এবং আসলেই নিজেকে টিমের একজন ভাবে, সব দিক দিয়েই ব্র্যান্ডিং এর ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ।
উপরের লেখাতে বুঝাতে চেস্টা করা হলো কেন একটি বিজনেসের জন্য ব্র্যান্ডিং গুরুত্বপূর্ণ, এবং বিভিন্ন দিক থেকে প্রয়োজনীয়। অনেকেই সাময়িক লাভের আসায় ব্র্যান্ডিং এর ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিতে চায় না তবে দীর্ঘমেয়াদি বিজনেসের জন্য ব্র্যান্ডিং এখন আবশ্যক একটি ব্যাপার এটা বলাই যায়।
আবার অনেকেই আছেন যারা ব্র্যান্ডিং ব্যাপারটাই বুঝেন না, একটি লেখা দিয়ে ব্র্যান্ডিং এর ব্যাপার বুঝানো সম্ভব নয় তবে চেস্টা করা হলো একটি বেসিক আইডিয়া দেয়ার জন্য।